রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসছে প্লাস্টিক বর্জ্য, বোতল ও ছেড়া জাল। এসব বর্জ্যে আটকা পড়ে মারা গেছে ২০টির অধিক সামুদ্রিক কাছিম। আর উদ্ধার করে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে শতাধিক কাছিমকে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী সহ বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা মিলেছে এসব বর্জ্য।
শনিবার রাত থেকে হঠাৎ এসব বর্জ্য ভেসে আসতে শুরু করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব বর্জ্য পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার উপকূলে এসেছে। আর বর্জ্যের আঘাতে আহত জলজপ্রাণী গুলোকে বাঁচাতে সরকারের কোন দপ্তরই এগিয়ে আসেনি বলে জানিয়েছেন পরিবেশবাদিরা।
পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্য নেচারের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম রিয়াদ বলেন, ‘শনিবার রাত থেকে এসব বর্জ্য আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিক বর্জ্য আর ছেঁড়া জাল দেখা গেছে। আমরা কক্সবাজারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কেউ এসব বর্জ্য সরিয়ে নিতে এগিয়ে আসেনি।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ) আবু নাছের মো. ইয়াছিন বলেন, ‘প্লাস্টিকসহ নানা ধরনের বর্জ্যে আটকা পড়েছে কাছিম। আমরা ঘটনাস্থলে একটা টিম পাঠিয়েছি। তারা কাছিমগুলোর চিকিৎসা নিশ্চিত করবে এবং সুস্থগুলোকে সাগরে ফিরিয়ে দেবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সাগরে শক্ত মনিটরিং না থাকায় বিদেশি জাহাজ থেকে বর্জ্য ফেলা হয়। এর কারণে আমাদের সমুদ্রের যে বাস্তুসংস্থান সেটি ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এসব প্লাস্টিক মাইক্রো প্লাস্টিকে (প্লাস্টিক কণা) রূপান্তরিত হয়ে মাছের খাদ্য শৃংখলে প্রবেশ করে শেষ পর্যন্ত মানবদেহে চলে আসছে।’
সংগঠনগুলোর ধারণা, সৈকতের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৫০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য ভেসে এসেছে। আর বর্জ্যের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ২০টি সামুদ্রিক কাছিমের। আর উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে শতাধিক।
.coxsbazartimes.com
[…] […]